অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ এবং ব্রিটেনের ৩৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ব্রাসেলস ও লন্ডন ইরানের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দু’দিনের মাথায় গতকাল (বুধবার) তেহরান এই পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে।
ইউরোপীয় ও ব্রিটিশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে- সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন, ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও সহিংসতায় উস্কানি প্রদান, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ, ইরান সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের হাতিয়ার হিসেবে ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপে অংশগ্রহণ।
ইইউ’র যে ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিডালগো, ফ্রান্সের শার্লি এবদো ম্যাগাজিনের পাবলিশিং ম্যানেজার লরাঁ সরিসোয়া, দেশটির কুখ্যাত সাংবাদিক বার্নার্ড হেনরি লেভি এবং ড্যানিশ উগ্র ডান-পন্থি রাজনীতিবিদ রাসমুস পালুদান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসের অ্যাটর্নি জেনারেল ভিক্টোরিয়া প্রেন্টিস, এমআইসিক্স গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান রিচার্ড ডিয়ারলাভ এবং ব্রিটিশ সেনাপ্রধান প্যাট্রিক স্যান্ডার্স’সহ আট ব্রিটিশ ব্যক্তি ও একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এর দু’দিন আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ ইরানের ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইইউর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ইরান সরকার সম্প্রতি দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা কঠোর হাতে দমন করেছে এবং এই দমনের কাজে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জড়িত ছিল।
Leave a Reply